Your Ads Here 100x100 |
---|
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা দাবি মেনে না নিলে সারাদেশে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মবিরতি, অনশন এবং মাধ্যমিক ও দাখিল পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনে নামা শিক্ষকরা।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট।
পাশাপাশি সরকারি নিয়মে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও উৎসব ভাতা চালুর দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
দাবি মেনে না নিলে সারাদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মবিরতি, অনশন এবং আসন্ন মাধ্যমিক ও দাখিল পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে।
তারা বলেন, মঙ্গলবার উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আগামী বাজেটে ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে, জাতীয়করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এই সরকার নিতে পারবে না এবং এই দাবি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে দেওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী নই। এখানে এসে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।”
“জাতীয়করণ না করলেও, অন্তত এই ঈদ থেকেই সরকারি নিয়মে ভাতা চালুর ঘোষণা এবং বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। তখন আমরা এখান থেকে সরে যাব।”
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
শিক্ষকরা বলছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মানোন্নয়ন আনতে এবং শিক্ষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয়করণ অপরিহার্য। তাদের বক্তব্য, শিক্ষকরা যদি আর্থিক ও পেশাগতভাবে নিরাপদ থাকেন, তবে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান সহজ হবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তারা বলেন, সরকারের উচিত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষক বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে আসছি। এখন আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দাবি জানাচ্ছি। এটি আমাদের অধিকার।”
সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে, শিক্ষকদের এ আন্দোলন শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
শিক্ষাবিদদের মতে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করতে হলে শিক্ষকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকরা যদি পেশাগতভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষা পাবে, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।