- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
খবরের দেশ দেস্ক ;
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত, সাংবাদিক আনিস আলমগীর সম্প্রতি ফেসবুকে লিখেছেন –
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা আসলে কতটা বৈধ? পাকিস্তানি আর বাংলাদেশিদের ছাড়া আর কোনো দেশের রাজনৈতিক দলের বিদেশি “দোকান” দেখিনি। আগে ছিল বাংলাদেশ সোসাইটি, এখন ভেঙে গেছে—বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ভাগে। এমনকি জেলা সমিতিগুলোও দলীয় ধারায় বিভক্ত।
আইন (RPO 1972, Political Party Registration Rules 2008) স্পষ্ট বলছে—দলের সংবিধানে বিদেশি শাখা থাকলে তা নিবন্ধনের বাধা। অথচ বাস্তবে নানা নামে শাখা, কমিটি চলছে। তারা বলে এটা আনুষ্ঠানিক নয়, কেবল সমর্থকদের গ্রুপ। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—আইনের চোখে এগুলো বৈধ নাকি শুধু ফাঁকফোকর?
নির্বাচন সংস্কার কমিশনও বলেছে—বিদেশে কোনো রাজনৈতিক শাখা থাকা চলবে না।
আমি ১৯৯৯ সালেই এসব বিদেশি দোকানের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম নিউইয়র্কে, সেখানকার দুটি পত্রিকার সঙ্গে। কিন্তু এটাও প্রমাণিত, দেশে যখন কণ্ঠরোধ হয়, তখন প্রবাসের এই মঞ্চগুলোই সক্রিয় থাকে। আর ক্ষমতায় দল এলে অনেক আন্দোলনকারী পুরস্কৃত হন।
সম্প্রতি লন্ডনে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে আলোচনায় আমি প্রবাসী কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ সমিতি জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কারণ কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে প্রবাসীদের নানা দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরা যায়। কিন্তু বিভক্ত থাকলে যে দল ক্ষমতায় আসে, সেই দলের লোকেরাই সুবিধা ভোগ করে। দেখলাম, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও তার সফরে একই কথা বলেছেন।
তবুও, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমি বুঝতে পারছি এসব বিদেশি শাখার গুরুত্ব। দেশে যখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, তখন বিদেশে অবস্থানকারীদের জন্য এমন প্ল্যাটফর্মই আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায়। দোষ দেওয়া যায় না তখন।
আজ দেখলাম, লন্ডনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এসে ‘March for Bangladesh’ নামে বড় সমাবেশ করেছে, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবিতে। এভাবে চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ হয়তো বিদেশেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কে জানে হয়তো ভারতেও তারা শাখা খুলবে।

