22 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

বণার্ঢ্য আয়োজনে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুড়িকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কৃষি ও মৎস্য অনুষদে এ বছর মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। একই দিনে নবীনবরণ ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় দিনটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সকালে ক্যাম্পাসজুড়ে নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সকাল ৯টায় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দিনটির কার্যক্রম শুরু হয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসপেক্টাস, আইডি কার্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোযুক্ত খাতা-কলম।

জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এ সময় তিনি ফুল দিয়ে নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। পরে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

র‍্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় ব্যাচের হৃদি দাস গীতা পাঠ করেন। এরপর কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন।

ডকুমেন্টারিতে একাডেমিক সাফল্য, গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের ফিল্ড ট্রিপ, সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ নানা ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘Smart Aquarium’ প্রকল্প, শেকৃবি ও এফএও’র সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির অগ্রগতি এবং নতুন একাডেমিক ভবনের কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরির তথ্যও উপস্থাপন করা হয়।

নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে হিয়া প্রামানিক ও শফিউল ইসলাম ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নৌরিশ নবীনদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে পড়াশোনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তক জ্ঞান নয়, বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে। তবেই তারা ফলপ্রসূ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।”

অনুষ্ঠান শেষে মিশবাতুল জান্নাত মাহীর কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে সমাপনী হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইরা আক্তার ও আব্দুল্লাহ আল বাকী।
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

সহকারী প্রকৌশলী থেকে শতকোটির মালিক! গণপূর্তে বদরুল আলম খানের উত্থানের রহস্য

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাভার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ বদরুল আলম খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অনিয়ম...