24 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

সীতাকুণ্ডে হাইওয়ে পুলিশের রেকারের নামে হয়রানি অভিযোগ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

সীতাকুণ্ড মহাসড়কে রেকারের নামে অর্থ আদায় করছেন কিছু পুলিশ সদস্য। ভুক্তভোগী গাড়ির চালকরা বলছেন, পুলিশের রেকার হয়রানি সীমাহীন।

দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি কিংবা রাস্তায় কোনো যানবাহন হঠাৎ বিকল হলে সেগুলো উদ্ধারে আনা হয় রেকার দিয়ে বিনিময়ে ওই যানবাহনের মালিকের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের, ফি, বা মাসোহারা নিচ্ছে পুলিশ। ছোট যানবাহন যেমন সিএনজি ব্যাটারিচালিত, মিশুক জব্দ করেও নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের রেকার, ফি,

অভিযোগ রয়েছে, এমন, রেকার হয়রানি, থেকে রক্ষা পেতে যানবাহনের চালকরা বাধ্য হচ্ছেন পুলিশকে মাসোহারা দিতে। প্রতি মাসে মাসোহারা থেকে আয় হচ্ছে কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এসব চাঁদা যায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে।

সিএনজি ও অটোরিকশা এসব বাহন থেকে চাঁদা তুলতে বহিরাগতদেরও ভাড়া করেন। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরাও নানা কৌশলে রেকার দিয়ে অর্থ আদায় করছেন।

সীতাকুণ্ড সিএনজি চালকরা অভিযোগ করেছেন, একটি গাড়ি ধরা পড়লে তাকে ন্যূনতম ২৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ২০ ,দিনের ডাম্পিংকের ভয় দেখিয়ে সাত থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে সেই খান থেকে ২৬০০ টাকা মামলা দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয় । আর সাত আট হাজার টাকা দিতে না পারলে গাড়ি ১৫,থেকে ২০,দিন ডাম্পিং করে রাখে।

ড্রাইভারেরা বলে অনেক সময় গাড়ি আটক করে সেই খানে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়,আর যদি টাকা দিতে না পারি তাহলে গাড়িকে থানায় নিয়ে যায়

মহাসড়কে মামলা দেওয়ার নামে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, সিএনজি চালকেরা।

বিশেষ করে, মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ, কথায় কথায় মামলা ও কাগজপত্র কোনো কারণবশত ক্রটি থাকলে এবং ঠুনকো অজুহাতে রেকার দ্বারা ডাম্পিংয়ের ভয় দেখিয়ে প্রতিদিনই লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড বড় দারেগার হাট থেকে প্রয় সিটি গেইট ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক, যানবাহন চলেতে গিয়ে দু-এক মিনিটের জন্য রাস্তা বন্ধ হলেই বাস ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ শত শত গাড়ি রং সাইডে (উল্টোপথ) দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এতে করে দুদিক থেকেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, যা যানজট পরিস্থিতিকে বেসামাল করে তোলে। এ ছাড়া অবৈধ স্থাপনার কারণে দুর্ঘটনাকবলিত বা আটকে পড়া গাড়ি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে রেকার ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এদিকে ট্রাক ড্রাইভার অভিযোগ। তারা বলেন, কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হলে রেকার দিয়ে সরানোর নামে চাঁদা উঠানো হচ্ছে।

প্রায়ই দেখা যায় মহাসড়কে বিকল ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি অপসারণের জন্য ব্যবহৃত রেকারকে ঢাল বানিয়ে রীতিমতো বাণিজ্য করছেন মহাসড়কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বেশ কয়েকজন মিনি ট্রাক চালক আরও বলেছেন, মাসিক ভিত্তিতে চুক্তির পর তারা মহাসড়ক নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাতে পারেন। যে চালক মাসিক চুক্তিতে যায় তার মোবাইল নম্বর হাইওয়ে পুলিশের কাছে থাকে।

বার আউলিয়ার হাইওয়ে থানার ওসি মো.আব্দুল মুমিনকে এ বিষয় জানতে মোটুফোনে বার বার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেনি
সীতাকুণ্ড চট্টগ্রামে প্রতিনিধি

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

সহকারী প্রকৌশলী থেকে শতকোটির মালিক! গণপূর্তে বদরুল আলম খানের উত্থানের রহস্য

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাভার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ বদরুল আলম খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অনিয়ম...