| Your Ads Here 100x100 |
|---|
সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম মরিয়ম ইসলাম মাহির। জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। কিন্তু সেই আলাদা হওয়াটা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এক অদম্য সাহস ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।
শিশুকাল থেকেই প্রতিটি পদক্ষেপ যেন ছিলো চ্যালেঞ্জের। হাঁটাচলা থেকে শুরু করে পড়াশোনা—সবকিছুই ছিলো কষ্টসাধ্য। তবুও থেমে থাকেননি মাহি। দুঃখ-কষ্টের মাঝেও জেদ করে এগিয়ে চলেছেন তিনি।দিনমজুর বাবা মোকাদ্দাস আলীর কষ্টার্জিত আয়ে চলে তাদের সংসার। মা মারা যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, অন্যদিকে দারিদ্র্যের শৃঙ্খল—দুটো মিলিয়েই মাহির জীবন যেন এক অবিরাম সংগ্রাম।
বর্তমানে তিনি কুড়ি পাড়া আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম মডেল কলেজের ইন্টারমিডিয়েট শ্রেণিতে পড়ছেন। প্রতিদিন কলেজে যাওয়া, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকা—সবকিছুই তিনি সামলান অক্লান্ত পরিশ্রম আর মনোবল দিয়ে।
তার প্রতিবেশী ও বন্ধুরা বলেন—“মাহি অন্যরকম এক অনুপ্রেরণা। প্রতিবন্ধী হয়েও সে প্রতিদিন কলেজে আসে। পড়াশোনার প্রতি তার মনোযোগ ও আগ্রহ আমাদের জন্য গর্বের।”মাহির স্বপ্ন—লেখাপড়া শেষ করে বাবার দুঃখ-কষ্ট লাঘব করা। তিনি চান সমাজে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে।কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ নয়। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তার প্রয়োজন অর্থনৈতিক সহযোগিতা। সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো উদ্যোগ পেলে মাহির জীবন সংগ্রামের গল্প একদিন সফলতার ইতিহাসে রূপ নিতে পারে।
প্রতিবন্ধকতা যে জীবনের শেষ কথা নয়, বরং সংগ্রামই পারে আলো ছড়াতে—তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ মরিয়ম ইসলাম মাহি। সমাজের সামান্য মানবিক সহায়তাই তাকে স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে নিতে পারে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সবারই উচিত মরিয়ম ইসলাম মাহিকে সাহায্যও সহযোগিতা করা।
জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

