রাহুল কুমার মৃধা(আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর প্রতিনিধি) :
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টিটা ভাসমান সেতু। মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ছুটে আসছে মধুমতি নদীর উপর নির্মিত এই ভাসমান সেতুতে।প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসছে এই ভাসমান সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।এখানে আসলেই মনে হবে আপনার সাথে প্রকৃতির ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের তৃতীয় ভাসমান সেতু এই টিটা ভাসমান সেতু যা ২০১৯ সালে নিজস্ব অর্থায়নে এবং গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় টিটা,শিকারপুর, কুমুরতিয়া ইকরাইল ও টিটা পানাইল এই পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করা হয়।কিন্তু বর্তমানে ভাসমান সেতুটি এক ধরনের বিনোদন বা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নির্মিত হয়েছে।প্রতিদিনই দুর দরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শক ছুটে আসছে এই ভাসমান সেতুর জন্য।
ভাসমান সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থী, অনির্বান সরকার জানান আমি গোপালগঞ্জ থেকে দেখতে এসেছি। এর আগেও একবার এই ভাসমান সেতু দেখতে এসেছিলাম কিন্তু এইবারের সৌন্দর্য আরো বেশি মুগ্ধ করেছে এর দুই পাশেই অসংখ্য পরিমাণ কচুরিপানা যা এই এই সেতুর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে।ভাসমান সেতুর উপর দিয়ে হেটে গেলে মনে হয় জলরাশি বা পানির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা বশির সিকদার জানান এই সেতু নির্মিত হওয়ায় এই পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াত যেমন সহজ হয়েছে তেমনি হাজার হাজার মানুষের প্রকৃতির সানিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছে।
প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করে এই ভাসমান সেতুতে।সেতুর দুই পাশে অনেক রকম রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকান নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও এখানে আছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট। সেতুর দুইপাশে মধুমতী নদীর কূল ঘেষে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য রয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।