পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা ও আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ইসলামাবাদে আলোচনার জন্য আট সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কমিটির প্রধান হিসেবে থাকছেন তিনি নিজে। বাকি সদস্যদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চার সদস্য, পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং আজাদ কাশ্মীরের সাবেক প্রেসিডেন্ট সরদার মাসুদ খান। দলের সঙ্গে থাকবেন আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোরুল হক।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তাঁর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার নড়বড়ে অবস্থা এবং রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠন জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (এএসি) এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এএসি নেতা শওকত নবাজ মীর অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী জনগণের প্রতিনিধিত্বের নামে কাশ্মীরিদের ওপর শোষণ চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি আসলে সেই জনগণকেই দমন করছে যাদের মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কথিত ‘আজাদ কাশ্মীর’ আসলে শৃঙ্খলিত দাসত্বে আবদ্ধ।”
সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের শাসকরা অন্যের ওপর দায় চাপালেও কাশ্মীরিদের রক্ত ঝরানোর জন্য তারাই দায়ী।