| Your Ads Here 100x100 |
|---|
রাহুল কুমার মৃধা (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি)
দেশের প্রশাসনিক কাঠামো গত এক দশকে যেভাবে বদলে এসেছে, তাতে নতুন বিভাগ গঠনের বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। সরকারের পাবলিক অ্যাডমিন রিফর্ম কমিশন অক্টোবরের শুরুর দিকে সুপারিশ করেছে দেশের দুটি নতুন বিভাগ গঠনের — এর একটি হলো ফরিদপুর বিভাগ।
পরিকল্পিত ফরিদপুর বিভাগের সীমা ও প্রশাসনিক বিষয়
সুপারিশ অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হবে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও শারীয়তপুর জেলা। বিভাগীয় সদরাধিকারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ফরিদপুর শহরকে। এই নতুন বিভাগ গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়ানো, স্থানীয় মানুষের চাহিদার দ্রুত সাড়া দেওয়া এবং প্রশাসনিক বোঝা হালকা করা।
কমিশন সুপারিশ করেছে যে নতুন বিভাগ গঠনের প্রক্রিয়ায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পুনর্বিন্যাস হতে পারে। এছাড়া সুপারিশের সঙ্গে রয়েছে সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা চালু করার প্রস্তাব।
বাধা, সমালোচনা ও জনস্বার্থ
নতুন বিভাগ গঠনের পরিকল্পনায় সমালোচনা কম হয়নি। অনেক সরকারি কর্মকর্তা প্রশ্ন করেছেন— “নতুন বিভাগ গঠনের যুক্তি কী?” — কারণ তারা বলছেন, বর্তমান বিভাগগুলোর অধীনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক নজরদারি যথেষ্ট সক্ষম।
শারীয়তপুর জেলার কিছু মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিবাদও উঠেছে। শরীয়তপুরের অনেক লোকই ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত না হওয়ার আন্দোলন করছে।
তবে এই আন্দোলনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

