32 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

স্পেশাল ফোর্স চান ডিসিরা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চান জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। সে কারণে চলমান ডিসি সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বাছাইকৃত ১১টি প্রস্তাবসহ এ সম্মেলনে মোট ৩৫৪টি প্রস্তাব উত্থাপন হবে বলে জানা গেছে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া ডিসি সম্মেলন শেষ হবে আগামীকাল।

ডিসি সম্মেলনের প্রস্তাব  ঘেটে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। মাগুরা জেলা প্রশাসক প্রস্তাব দিয়েছেন সব জেলায় ‘স্পেশাল ডেডিকেটেড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের জন্য। এ ফোর্স জেলা প্রশাসকের অধীনে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগকালীন সেবা দেওয়াসহ জরুরি কার্যক্রমে  অংশ নেবে। প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা পর্যায়ে অবস্থিত বাহিনীগুলোর কার্যালয়ের দূরত্ব, প্রস্তুতিমূলক কারণে সময় ক্ষেপণ হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ও জনস্বার্থ বিঘিন্নিতো হয়। জানা যায়, তার এ প্রস্তাবকে বিবেচনা করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মনে করছে, জেলা প্রশাসকের অধীনে ১৫ জনের এ ধরনের একটি ফোর্স থাকতে পারে।

মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম উত্থাপিত প্রস্তাবে বলেছেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা নিজে বা তার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্ট, উচ্ছেদ অভিযান, বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ ও দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার কাজ করেন। এসব কাজ প্রায়ই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। নিজস্ব সুরক্ষা ও এ ধরনের জরুরি সেবা কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য জেলা প্রশাসকের অধীনে একটি ‘স্পেশাল ডেডিকেটেড রেসপন্স ফোর্স’ গঠন করা যেতে পারে। এ ছাড়া অপরাধ ডেটাবেজ ও ন্যাশনাল আইডি ডেটাবেজে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রবেশাধিকার চেয়েছেন ডিসিরা। বর্তমানে এসব ডেটাবেজে শুধু জেলা ও উপজেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওরা তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে জেলা বা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জেলা ও উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উল্লিখিত ডেটাবেজে প্রবেশাধিকার দেওয়া হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। এ ছাড়া ডিসিরা ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর বিধিমালা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ আইন প্রণয়নের পর ওই আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগের স্বার্থে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বিধিমালা প্রণীত হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ প্রণীত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিধিমালা তৈরি করা হয়নি। আইনটির যথার্থ কার্যকারিতার স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। মোবাইল কোর্ট আইনের কিছু ধারার অর্থদন্ড যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন চাঁদপুরের ডিসি।

 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আমির খানের নতুন প্রেমিকা কে?

তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এ...