Your Ads Here 100x100 |
---|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি ‘খুব শিগগির’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন।
আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
ইতোমধ্যে দুই দেশের কর্মকর্তারা সৌদি আরবে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই বৈঠকটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী হয়ে বলেন, পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।
এয়ার ফোর্স ওয়ানের ফ্লাইট শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের (রুশদের) একটি শক্তিশালী সামরিক অবকাঠামো রয়েছে। এটা আপনাদের বুঝতে হবে। তারা (অতীতে) হিটলার ও নেপোলিয়নকে পরাজিত করেছে। তারা অনেকদিন ধরেই যুদ্ধ করে আসছে’।
‘তারা আগেও এটা করে দেখিয়েছে। তবে আমার ধারণা, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান’, যোগ করেন তিনি।
পুতিন ইউক্রেনের সমগ্র ভূখণ্ড দখল করতে চান কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি নিজেও পুতিনকে এ প্রশ্নটি করেছেন এবং এরকম কিছু হলে তা ‘আমাদের জন্যেও বড় সমস্যা হবে’।
ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার বিষয়টি ইউক্রেন ও সামগ্রিকভাবে ইউরোপে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ইউরোপের দেশগুলো ভাবছে, ট্রাম্প তাদেরকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে সম্মতি দেবে। যার ফলে, ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ডের দখল রাশিয়ার হাতে চলে যাবে এবং পুতিনের দাবি পূরণ হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ ও দেশটিকে ‘নিরপেক্ষ’ রাখা। পুতিনের দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার ‘আকাঙ্ক্ষা’ ছাড়তে হবে এবং যতটুকু ভূখণ্ড ইতোমধ্যে রাশিয়ার দখলে গেছে (ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ২০ শতাংশ), সেটারও দাবি ছাড়তে হবে জেলেনস্কিকে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা আকার-ইঙ্গিতে জানিয়েছে, উভয় দাবিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘আশীর্বাদ’ রয়েছে।
ইতোমধ্যে বসে নেই জেলেনস্কি ও ইইউ। ইউরোপের শীর্ষ নেতারা ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার প্রয়োজনে ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের জন্যেও প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।