| Your Ads Here 100x100 |
|---|
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে ঘিরে ফের উঠেছে বহুমুখী দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। বিভাগটির অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, অতীতে নানা দুর্নীতিতে জড়িত থাকা সত্ত্বেও তিনি বর্তমানে পদোন্নতির জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।
চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত কায়কোবাদ এবার নতুন এক “মিশন” বাস্তবায়নে নেমেছেন। এতে তাকে সহায়তা করছেন মোহনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি। এই সিন্ডিকেটের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, কায়কোবাদের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট টেন্ডার বণ্টন, প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ প্রবাহ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঠিকাদারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন নেওয়া হয় প্রতিটি প্রকল্পে।
এই সিন্ডিকেটে যুক্ত রয়েছেন প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার, নির্বাহী প্রকৌশলী, ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলীরা। ফলে প্রকল্পের মান ও স্বচ্ছতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগ আছে, কায়কোবাদ নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে মিডিয়ার একটি অংশকে প্রভাবিত করেছেন।
তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মিডিয়ার দালাল হিসেবে কাজ করছেন।
তারা “বগলদাবা গোছের সাপ্তাহিক”, “অর্ধবার্ষিক দৈনিক” ও কিছু ‘হঠাৎ অনলাইন নিউজ পোর্টাল’ ব্যবহার করে প্রপাগান্ডামূলক সংবাদ প্রকাশ করছে—যাতে কায়কোবাদের দুর্নীতি ঢাকা পড়ে।
সুত্র জানিয়েছে, কথিত দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার সম্পাদক মোহন চক্র গত ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তাকে মামলা ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। এছাড়া, যারা অর্থ প্রদান করেনি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজকের দেশ ডটকম, নিউজ জনতা, নতুন দিগন্ত নিউজ, খবর জনতা, সবুজ বিপ্লব, লাস্ট নিউজ ও দৈনিক পাঞ্জেরীর মতো গণমাধ্যমগুলো কায়কোবাদের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এই সিন্ডিকেট তা ‘তথ্য সন্ত্রাস’ বলে আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রপাগান্ডা চালায়।
এমনকি, দুর্নীতির খবর প্রকাশ করা সাংবাদিকদের হুমকি ও চাপের মুখে ফেলার চেষ্টাও চলছে, যা গণমাধ্যম স্বাধীনতার জন্য উদ্বেগজনক।
সূত্রের দাবি, কায়কোবাদ দায়িত্ব পালনকালে ভুয়া প্রাক্কলন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও ধামরাইয়ে ১০ তলা ভবনের ফাউন্ডেশন করেছেন—যা তার নামে বা পরিবারের নামে নিবন্ধিত।
দুদক, মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থার নজর থাকা সত্ত্বেও তিনি ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগে পদোন্নতির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারও তাকে সহায়তা করছেন বলে সূত্র জানায়, যদিও সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের কারণে পদোন্নতি এখনো আটকে আছে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, কায়কোবাদের নেতৃত্বে প্রকল্প তদারকিতে অনিয়ম চলছে।
ইএম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা অনেক সময় কাজ না করেও বিল পান।
ফলে, পুরো গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

