মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে বা ;ড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে আন্দোলন স্থগিত করে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তবে এই ভাতা ধাপে ধাপে দেওয়া হবে— চলতি বছরের নভেম্বর থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ (বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে। বাকি সাড়ে ৭ শতাংশ ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আন্দোলনের দশম দিনে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র জারি করা হয়। পরে দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে চিঠি হস্তান্তর করেন।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন,
“অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। শিক্ষকরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ছেন—তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে আমরা সচেষ্ট।”
অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন,
“সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা কৃতজ্ঞ। বুধবার থেকেই আমরা ক্লাসে ফিরব।”
তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা ও শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালুর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অর্থ বিভাগের নির্দেশনা
অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বকেয়া পাবেন না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট আর্থিক বিধি-বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে, অনিয়ম হলে দায় থাকবে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষের ওপর।
প্রেক্ষাপট
গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসাভাতা ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা, এবং উৎসবভাতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ করার দাবি জানান।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার বাড়ি ভাড়া ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিলে তা শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন শুরু করেন।