- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে—
তিন বছর বয়সী একমাত্র কন্যা আরওয়ার মৃত্যুর খবর শুনে আফ্রিকা প্রবাসী বাবা ওসমান গণি ছুটে এলেন হেলিকপ্টারে।
শুক্রবার সকালে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিজ গ্রামের উদ্দেশে উড়াল দেন।
হেলিকপ্টারটি নামার পর মুহূর্তেই স্থানীয় গুণবতী স্কুল মাঠ নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। কেউ কিছু বলেনি— শুধু দেখেছে এক বাবার পাগলের মতো ছুটে গিয়ে কলিজার টুকরো মেয়েকে শেষবারের মতো জড়িয়ে ধরার দৃশ্য।
কীভাবে ঘটলো দুর্ঘটনা
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে পরিবারের অগোচরে বাড়ির সামনে পুকুরে পড়ে যায় ছোট্ট আরওয়া।
পরিবারের লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরওয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী ওসমান গণি এবং গৃহিণী নাছরিন আক্তারের একমাত্র সন্তান।
দূর দেশে বাবার আর্তনাদ
ওসমান গণি গত ১৫ বছর ধরে আফ্রিকায় ব্যবসা করছেন। চলতি বছর দেশে এসে আট মাস বয়সী মেয়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে আগস্টে ফিরে যান তিনি।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ফ্লাইট ধরে দেশে ফেরেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে কুমিল্লায় পৌঁছে জানাজায় অংশ নেন এবং একমাত্র মেয়েকে নিজ হাতে দাফন করেন।
স্থানীয়দের বর্ণনায়
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইস্রাফিল বলেন,
“বাদল (ওসমান গণি) ভাইয়ের একটাই মেয়ে ছিল। খবর শুনে সে শুধু বলেছিল—‘আমার মেয়েকে একবার দেখতে দাও’। আমরা তখনই লাশ ফ্রিজিং গাড়িতে রাখি যেন সে পৌঁছাতে পারে।”
আরেক আত্মীয় সাইদুল ইসলাম জানান,
“বৃহস্পতিবার দুপুরে খবর পাঠানোর পর পরদিন সকালেই সে এসে হাজির হয়। কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে কোলে নেয়—দৃশ্যটা সবাইকে স্তব্ধ করে দেয়।”

