- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
রয়টার্স এখন আর তাদের পুরোনো সাংবাদিকতার মানদণ্ড বহন করছে না বলে মন্তব্য করেছেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। বাংলাদেশ সম্পর্কিত একাধিক প্রতিবেদনে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত এই বার্তা সংস্থার নির্ভরযোগ্যতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
গতকাল শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে আজাদ মজুমদার লেখেন,
“রয়টার্সে সাত বছর কাজ করেছি। তাই তাদের সম্পাদনা ও নীতিমালা সম্পর্কে ভালোভাবে জানি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি আর আগের মতো পেশাদার মান ধরে রাখতে পারছে না।”
তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড় বছরে রয়টার্স বাংলাদেশকে নিয়ে অন্তত তিনটি গুরুতর ভুল করেছে।
প্রথমত, এক আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশে তারা ভুয়া উদ্ধৃতি ব্যবহার করে নিহত ব্যক্তিকে ভুলভাবে এক ইসকন নেতার আইনজীবী হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
দ্বিতীয়ত, একই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওটির ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না। পরবর্তীতে রয়টার্স ভুল স্বীকার করে ভিডিওটি সরিয়ে নেয়, তবে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেনি।
তৃতীয়ত, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফর নিয়ে প্রকাশিত এক খবরে রয়টার্স দাবি করে, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া যৌথভাবে মিয়ানমারে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠাতে সম্মত হয়েছে। আজাদ মজুমদার বলেন,
“এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ এমন কোনো প্রস্তাব দেয়নি বা রাজিও হয়নি। খবরটি ঢাকার তারিখে প্রকাশ করা হয়, অথচ ঘটনা ঘটেছিল কুয়ালালামপুরে।”
তিনি আরও লেখেন,
“রয়টার্সের যেকোনো প্রতিবেদন, বিশেষ করে যেগুলো শুধু ইমেইল সূত্রে তৈরি এবং যেখানে কোনো তাৎক্ষণিক ছবি নেই, এখন সেগুলো সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।”

