| Your Ads Here 100x100 |
|---|
‘গত নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যে শুরু করতে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। আমাকেও শুনতে হয়— “উনি কি আমাদের লোক?” ধারাবাহিকভাবে এই কথাটা শুনে যাচ্ছি।’
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
আলোচনার বিষয় ছিল— “বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়”।
বৈঠকটি আয়োজন করে প্রথম আলো ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতি।
‘রাজনীতি ও প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত হতে চাই’
বাহারুল আলম বলেন,
“আমরা এখনও হতাশা থেকে বের হতে পারছি না। অনেকে বলছেন— পুলিশ কমিশন এখনই করতে হবে। কেউ কেউ বলেন, রাজনৈতিক সরকার থাকলে এটা সম্ভব নয়। তাহলে আমাদের ভবিষ্যত কী? রাজনৈতিক নেতারাই তো দেশের অভিভাবক। কেন আমরা তাদের আস্থায় থাকব না?”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের (পুলিশকে) এমন এক স্বতন্ত্র বডির আওতায় আনুন, যা রাজনীতি ও কার্যনির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত হবে। উনারা দেশ চালাবেন, কিন্তু প্রভাব বিস্তার করবেন না— সেই জায়গায় কবে যেতে পারব আমরা?”
‘কার্যকর স্বাধীনতা দিন, নির্দেশনা নয়’
আইজিপি বলেন,
“মামলা তদন্ত বা গ্রেপ্তারে যেন কোনো নির্দেশনা না আসে— এই স্বাধীনতা দিন। আইনেই লেখা আছে, কীভাবে পুলিশ কাজ করবে। ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের ৩ ধারায় সরকারের অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে— এটা কাটছাঁট করতে হবে।”
তিনি জানান,
“নতুন পুলিশ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার— এটি সুখবর।”
‘ঘৃণার মাত্রা এমন পর্যায়ে, পুলিশকে থানাও ছাড়তে হয়’
গত এক বছরে অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বাহারুল আলম বলেন,
“কতটুকু ঘৃণা সঞ্চার হলে পুলিশকে নিজের স্টেশন ছেড়ে পালাতে হয়! দেড়শ বছরের ইতিহাসে এটা হয়নি। গত ১৫ বছরে আমরা যেভাবে ব্যবহৃত হয়েছি, তার আত্মসমালোচনা দরকার।”

