- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
কখনো শুনেছেন, একজন ফাস্ট বোলারের আতঙ্কে ফর্মে থাকা বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান মানসিক ট্রমায় চলে গেছেন?
অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ২০১৩–১৪ অ্যাশেজে এমন ঘটনাই ঘটেছিল। অস্ট্রেলিয়ার আগুনে পেসার মিচেল জনসনের তীব্র গতির আঘাতে ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জোনাথন ট্রট সিরিজের মাঝপথেই মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে দেশে ফিরে যান।
সেই সিরিজে জনসনের প্রতিটি স্পেল ছিল যেন রাগ, প্রতিশোধ আর নিখুঁত নিয়ন্ত্রণের মিশ্রণ। তার বলগুলো কেবল উইকেট নয়, ভেঙে দিত ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসও।
হেলমেটে আঘাত, শরীরে বাউন্সারের দগদগে চিহ্ন—ইংলিশ ব্যাটারদের মনে ছড়িয়ে দিয়েছিল আতঙ্ক।
তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক খেলা—উড়ন্ত চুমু, স্থির দৃষ্টি, কিংবা নিস্পৃহ মুখভঙ্গি। এগুলো যেন প্রতিপক্ষের ক্ষতস্থানে নুনের ছিটে। প্রতিটি ডেলিভারি ছিল একেকটা মানসিক যুদ্ধের অস্ত্র।
সেই সময় জনসনের বোলিংকে অনেকে বলেছিল “মডার্ন ডে লিলি”—ডেনিস লিলির মতোই তিনি ফিরিয়ে এনেছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে ভয়ঙ্কর পেসের রোমাঞ্চ।
অ্যাশেজের প্রতিটি দিন ছিল থ্রিলারের মতো, যেখানে দর্শকদের প্রিয় নায়ক ছিলেন না ব্যাটসম্যানরা—ছিলেন “গোঁফওলা ভিলেন” মিচেল জনসন।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া স্টুয়ার্ট ব্রড পর্যন্ত ক্যারিয়ারের শেষে স্বীকার করেছিলেন—
“আমি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি, শুধু ২০১৩–১৪ অ্যাশেজে ব্রিসবেনে মিচেল জনসনের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া। ওটা ছিল ভয়ঙ্কর!”

