- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং পুলিশের সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদের মধ্যে কথিত একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অডিওটিতে উঠে এসেছে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রশাসনের অভিযান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং তৎকালীন সরকারের অভ্যন্তরীণ বিভ্রান্তির ইঙ্গিত।
হারুনুর রশিদ ডিবি প্রধান থাকা অবস্থায় ছিলেন অত্যন্ত আলোচিত— আবার বিতর্কিতও। অভিযোগ ছিল, তিনি রাজনৈতিক নির্দেশে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
তখন অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলতেন, “হারুনের ভাতের হোটেল”— কারণ, ডিবি কার্যালয়ে ডেকে এনে ছাত্রনেতা ও বিরোধীদের “খাওয়ানোর” পর সেই ছবিগুলো প্রচার করা হতো।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময়, ২৯ জুলাই রাতে ছয়জন কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতাকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়—
নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবুবকর মজুমদার, নুসরাত তাবাসসুম ও আসিফ মাহমুদ।
৩২ ঘণ্টার অনশন শেষে তারা মুক্তি পান।
এই ঘটনাই তখনকার আন্দোলনকে আরও উত্তেজিত করে তোলে, যা শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের দিকে নিয়ে যায়
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা যায়—
হারুনুর রশিদ অভিযোগ করছেন, তিনি যা কিছু করেছেন, সবই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং এসবি চিফের নির্দেশে।
কিন্তু তবুও তাকে বদলি করা হয়েছে।
এসময় ওবায়দুল কাদের জবাবে বলেন,
“প্রধানমন্ত্রী যখন এসব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো পাশে ছিলেন। তিনি তো তোমার পক্ষে কিছু বলেননি।”
হারুন উত্তর দেন,
“স্যার, আমি তো ওনাদের নির্দেশেই কাজ করেছি। তারপরও বদলি করে দিল।”

