- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে টানা ১২৩ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তিনি এখনও নিজের সিদ্ধান্তে অনড়।
গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনের সামনে দেখা যায়, তারেক রহমানের হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় তিনি শুয়ে আছেন। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে তার। তবু পাশে থাকা কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হয়েছে? এটা আমি মানতে পারছি না।”
তার চারপাশে সমবেত হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ সংহতি জানাচ্ছেন, কেউ শুধু দেখতে আসছেন এই তরুণ রাজনৈতিক নেতাকে।
আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন,
“৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি বলেন—ক্যান ইলেকশন কমিশন গো বিয়ন্ড দ্য রুলস? সো… ইউ গট মাই আনসার।”
অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশন নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো দলকে নিবন্ধন দিতে পারবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
গত ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করে।
সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি—এই তিন দল নিবন্ধন পায়।
তবে তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে ‘আম জনতার দল’, যার সদস্যসচিব তারেক রহমান।
ঘোষণার দিন বিকেলেই ইসি ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তিনি, দাবি জানান পুনর্বিবেচনার।
এখন পর্যন্ত ইসি থেকে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
“সেদিন একজন উপসচিব এসেছিলেন, এরপর আর কেউ আসেনি। কোনো চিঠিও দেয়নি,” বলেন তারেক রহমান।
দীর্ঘ অনশনে শারীরিকভাবে মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান।
“শরীরে অনেক ব্যথা করছে। তবে এমন অবস্থাতেও আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই,”
বলেছেন তিনি দুর্বল কণ্ঠে।

