24 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে খুন হন মামুন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিনে-দুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে
তিনি ১৯৯৭ সালের জাহিদ আমিন ওরফে হিমেল হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন। হাজিরা শেষে হাসপাতালের সামনে গুলিতে তিনি নিহত হন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে বের হন মামুন। ফটক পার হয়ে অল্পদূর যাওয়ার পরই দুই দুর্বৃত্ত তার দিকে গুলি ছোড়ে।
প্রথমে একটি গুলি হাসপাতালের জানালায় লাগে, এরপর তারা পরপর পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়, যার তিনটি মামুনের শরীরে লাগে
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরে ঢাকা মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন, তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী মো. তারেক বলেন,

“দুইজন দুর্বৃত্ত দ্রুত এসে গুলি ছোড়ে। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।

সেদিন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমিনুন নেসার এর আদালতে মামুন হাজিরা দেন।
তবে কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আগামী বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি।
মামুনের আইনজীবী মেহেদী হাসান জানান,

“তিনি আদালতে হাজিরা দেন, এরপর চলে যান। পরে শুনেছি, হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কেন গিয়েছিলেন তা বলতে পারছি না।”

১৯৯৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুরে জাহিদ আমিন ওরফে হিমেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনায় মামুনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এর আগে মামুন ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি
২০ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
একই বছরের জুনে তেজগাঁও বিজি প্রেস এলাকায় তার ওপর গুলি চালানো হয়, যেখানে আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন
সে সময় মামুন অভিযোগ করেন, ওই হামলার পেছনে আরেক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন জড়িত ছিলেন।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পর গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

ঢাকার মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল (১৫) হত্যাকাণ্ডের প্রায় আড়াই দিন পর গৃহকর্মী...