- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন হত্যা মামলায় দুই শ্যুটারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তলও জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় ডিবি প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম জানান, সিসিটিভিতে দেখা দুই শ্যুটার **‘কুত্তা ফারুক’ ও ‘রবিন’**সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য তিনজন হলেন রুবেল, ইব্রাহিম ও আরও এক সহযোগী।
সিলেট থেকে ধাওয়া করে পার্শ্ববর্তী একটি জেলায় প্রথমে চারজনকে এবং পরে রাজধানী থেকে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে মামুনকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পেছন থেকে দুজন ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে মামুনকে একাধিক গুলি করে চলে যান।
ময়নাতদন্তে মামুনের শরীরে সাতটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ছয়টি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মামুন একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন-এর সহযোগী ছিলেন।
দুজন মিলে গঠন করেছিলেন “ইমন–মামুন গ্রুপ”, যারা রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করত।
অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তারও অভিযোগ করেছেন,
“ইমন ও তার লোকজনই আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আগেও তারা হত্যাচেষ্টা চালিয়েছিল।”

