26 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

পুরান ঢাকায় কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয় কুত্তা ফারুক এবং রবিন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

রাজধানীর পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি—মামুনকে হত্যা করা হয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্বের জেরে। হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেন মামুনেরই এক সময়ের সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি।”
ডিবি প্রধান জানান, হত্যার জন্য মাত্র ২ লাখ টাকায় ভাড়াটে শুটার ফারুক ওরফে ‘কুত্তা ফারুক’ এবং রবিনকে নিয়োগ দেন রনি। হত্যার আগের রাতে মিরপুরে রনির বাসায় এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়।
হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ফারুক ও রবিন। এছাড়া শামীম, ইউসুফ ও রুবেলসহ মোট ৯ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানায় ডিবি।
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা এখন খতিয়ে দেখছি—শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন সরাসরি এই হত্যায় যুক্ত ছিলেন কি না।”
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুই দুর্বৃত্ত। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তারিক সাইফ মামুন ছিলেন ১৯৯৮ সালের আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি, যেখান থেকে তিনি গত বছর খালাস পান।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২৫ বছর পর, এ মামলায় তিন আসামি—আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী—যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। বাকি ছয়জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম আরও জানান, “গত বছরের ৫ আগস্টের পর যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়ে আবারও অপরাধে লিপ্ত হয়েছে, তাদের তালিকা করে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।”
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পর গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

ঢাকার মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল (১৫) হত্যাকাণ্ডের প্রায় আড়াই দিন পর গৃহকর্মী...