ঢাকার রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সামাজিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বৃহস্পতিবার ডিবি সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন—পুলিশের মনোবল ধ্বংস করার চেষ্টা করা হলে এর খারাপ প্রভাব পড়বে সামগ্রিক নিরাপত্তার ওপর, যার দায় শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে।
অরাজকতার অভিযোগ এবং ‘মনোবল’ প্রসঙ্গ
কমিশনার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রাজপথে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও অপমানজনক আচরণের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তার ভাষায়— “একটি অরাজকতা ঠেকাতে গিয়ে আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। আমরা সংঘাতে যেতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই।”
তিনি মনে করিয়ে দেন—অভ্যুত্থান-পরবর্তী অনিশ্চয়তার সময়ে পুলিশ খুব কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করেছে এবং অনেক কষ্টে তাদের মনোবল ফিরে এসেছে। “এই মনোবল আবার ভাঙার চেষ্টা করবেন না। না হলে ৫ আগস্টের পর যেমন মানুষ নিজ নিজ এলাকায় বাঁশের লাঠি নিয়ে পাহারা দিয়েছে, তেমন পরিস্থিতি আবারও ফিরে আসতে পারে।”
ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত—চাপ বাড়ছে বাহিনীর ওপর
ডিএমপি কমিশনার জানান, আগের রাতে একজন পুলিশ সদস্য থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। তিনি বলেন— “নিরপরাধ একজন মানুষকে এইভাবে আহত করা হলে আমাদের মনোভাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবাই।”
গোলাগুলির নির্দেশ নয়, আইন প্রয়োগের কথা বললেন কমিশনার
বিভিন্ন মহলে গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে, কমিশনার তা স্পষ্টভাবে নাকচ করেন। তিনি বলেন— “আমি কোনো নির্দেশ দেইনি। আইনেই বলা আছে—অগ্নিসংযোগ বা ককটেল নিক্ষেপের মতো প্রাণনাশী আচরণ প্রতিরোধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি শুধু আমার অফিসারদের আইনটি দেখিয়ে বলেছি—এটাই আইনের ভাষা।”
তিনি আরও যোগ করেন— “আমি আইন বানাইনি, আইন বানায় সংসদ। পুলিশ শুধু আইনের প্রয়োগকারী।”