Your Ads Here 100x100 |
---|
‘আমার ঘর আমার বেহেশত’/’স্বামী আমার বেহেশত’
আদনানই জীবন বাঁচিয়েছে, পরিস্থিতির কারণে বিয়ে করতে বাধ্য হই: পপি
দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর অবশেষে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। সম্প্রতি মা মরিয়ম বেগম মেরি ও ভাই তাঁর বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি দখলের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পপি এবার দাবি করলেন, বহু আগে থেকেই মা ও ভাইবোনদের রোষানলে ছিলেন তিনি। মানসিক নির্যাতন এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, আত্মহত্যার কথাও ভাবতেন। আর সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন বর্তমান স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল। গণমাধ্যমে পাঠানো এ ভিডিওতে বিয়ে ও পরিবারিক জটিলতা নিয়ে এবারই প্রথম মুখ খুললেন এ নায়িকা।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও জীবনের মোড় বদল
পপির ভাষায়, ‘বিয়ে নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ২০১৯ সালে বাসায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। তখন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় জিডিও করি। পরে রমনা থানায় আমাকে ডাকা হয়।’
আপন ভাই-বোন আমাকে একের পর এক নির্যাতন করেছে: পপিআপন ভাই-বোন আমাকে একের পর এক নির্যাতন করেছে: পপি
তিনি জানান, ‘সেদিন আদনানকেও থানায় ডাকি। সেখানে গিয়ে দেখি, আমার ভাইবোনেরাও উপস্থিত। জীবন নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, মনে হলো আমি কারও কাছেই নিরাপদ নই। সবার সঙ্গে মিশলেও আপনজন কেউ ছিল না। অথচ আমি সবসময় পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়।’
আদনানের সহযোগিতা ও বিয়ের সিদ্ধান্ত
পপি বলেন, ‘‘জটিলতার পুরো সময়জুড়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। আমার হাত শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।’ ওই সময়ে এমন একজন বন্ধু না পেলে জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার সমস্যার মুখে পড়ি। তখন মনে হলো, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি এবং আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট উদ্ধার করি। বলতে গেলে জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই সময় আমার সামনে দুটি পথ ছিল— হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো তাদের হাতে খুন হয়ে যেতে…।’
‘আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হই’
বিয়ের প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘আদনানই আমাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হই। ২০২০ সালের নভেম্বরে বাসায় কাজী ডেকে বিয়ে করি। আমার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন, তবে মাকে ডাকিনি। হয়তো অনেকে বিশ্বাস করবে না, কিন্তু সত্যি হলো— আমার মা কখনোই চাইতেন না, আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’
সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত
সিনেমা থেকে সরে আসার বিষয়ে পপির ভাষ্য, ‘আমার সংসার বাঁচানোর জন্যই সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর আমার স্বামী যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছি। আমি অনেকবার বলেছি, বিয়ের পর সিনেমা করব না। স্বামী চাইলেও করতাম না, না চাইলেও না।’
আপন ভাই-বোন আমাকে একের পর এক নির্যাতন করেছে:
আপন ভাই-বোন আমাকে একের পর এক নির্যাতন করেছে: পপি
প্রথম পরিচয় ও সম্পর্কের বন্ধন
আদনানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে পপি বলেন, ‘আমাদের পরিচয় সাত বছরের। পরিচয়ের তিন বছর পর বিয়ে হয়, তবে বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আদনান শুধু স্বামীই নয়, আমার পারিবারিক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী। আমার মা-বাবাসহ সবার সঙ্গে তার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের মধ্যে যাওয়া-আসা ছিল, আমরা একসঙ্গে ঘুরতেও গেছি। আমার যেকোনো বিপদে সে ছায়ার মতো পাশে থেকেছে।