Your Ads Here 100x100 |
---|
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কার অবদান বেশি, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে ব্যাপক বিতর্ক। এ বিষয়ে নানা পোস্ট দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন ব্যবহারকারীরা। কেউ কাউকে এই বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে তুলে ধরছেন, আবার কেউ দ্বিমত পোষণ করে পাল্টা পোস্ট দিচ্ছেন এবং গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করছেন।
গতকাল সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন, যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তার পোস্ট শেয়ার করে অনেকে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত জানিয়েছেন।

এবার এই বিষয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একাত্তরের স্বাধীনতার মতো জুলাই বিপ্লবও একদিনে আসেনি।’
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। এ জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়েছেন, অসংখ্য মানুষ আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। তাই এই অর্জন কারও একার নয়, কৃতিত্ব সবার।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘হাসিনার পতনও একদিনে ঘটেনি। এর পেছনে রয়েছে বহু বছরের ত্যাগ ও সংগ্রাম। হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন, অপহৃত হয়েছেন মুক্তির জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যান।’

তিনি গণঅভ্যুত্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অবদানের কথা স্মরণ করে লেখেন, ‘এই কৃতিত্ব সবার: ছাত্র, সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, রিকশাচালক, দোকানদার, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, পেশাজীবী, প্রবাসী, বিদেশি বন্ধু, শিশু, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এবং অবশ্যই রাজনীতিবিদরা।’
নিজের দলের ভূমিকা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘আমরা, বিএনপির নেতাকর্মীরা, সব সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের পাশে ছিলাম এবং থাকব। চলুন, আমাদের এই ইতিহাস দৃঢ়তা, সততা ও সত্যের সঙ্গে লিখি। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের পুনর্গঠন। সবার আগে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!’