Your Ads Here 100x100 |
---|
শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণিতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানিকে কেন্দ্র করে তীব্র হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। শুনানিতে উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানায়। ফলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তীব্র চাপে পড়ে।
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানির আয়োজন করা হয়। তবে দুপুরের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে এই শুনানি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদকারীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। তারা এ কার্যক্রমকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে জোরালো আপত্তি জানান।
এর আগে, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনসহ (পেট্রোবাংলা) দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিইআরসি আজ গণশুনানির আয়োজন করে। কিন্তু উপস্থিত জনতা দাবি তোলে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রোববারের মধ্যে খারিজ করতে হবে, অন্যথায় এ প্রতিবাদ আন্দোলনে রূপ নেবে।
সকালে পেট্রোবাংলা ও গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের ওপর বিইআরসির শুনানি শুরু হয়। আবেদনে শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণির নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়। তবে উপস্থিত জনতা এর তীব্র বিরোধিতা করে জানায়, গ্যাসের দাম বাড়ালে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাত হুমকির মুখে পড়বে, যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, “শুধু জ্বালানি নয়, এভাবে সব পণ্য আমদানি করে দেশকে আমদানি নির্ভর করে ফেলা হচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ভয়ঙ্কর গণবিরোধী। এ ধরনের প্রস্তাবের ওপর কোনো গণশুনানি হতে পারে না, এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।”