27 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

গাজীপুরে বেক্সিমকোর ১৪টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

গতকাল বুগাজীপুর নগরের সারাব এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস বিভাগের ১৪টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো লিমিটেড (ইয়ার্ন ইউনিট-১ ব্যতীত) এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪টি কারখানায় কাজের সংকটের কারণে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী লে-অফ ঘোষণা করা হয়। তবে কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ না থাকায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৬(৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০(৩) ধারা মোতাবেক আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাঁটাই হওয়া শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইন অনুযায়ী সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে, যা আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের মাসিক বেতন ব্যয় প্রায় ৬০ কোটি টাকা, আর কর্মকর্তাদের বেতন প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। তবে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমানে এসব কারখানা এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ নেই, এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সম্প্রতি হাইকোর্টে এক রিট শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকোর ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট দায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা এখন খেলাপি ঋণ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হন। বেক্সিমকোর বেশিরভাগ লেনদেন জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা ঋণের বড় অংশই খেলাপি। একক ঋণগ্রহীতার সীমা অতিক্রম করায় নতুন করে ব্যাংকঋণ পাওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এরপরই বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংকঋণ খেলাপি ও নতুন অর্ডার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংকঋণ খেলাপি ও নতুন অর্ডার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আমির খানের নতুন প্রেমিকা কে?

তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এ...