Your Ads Here 100x100 |
---|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা বিপদের মুখে পড়তে পারে। প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করে জানিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি মার্কিন রপ্তানিকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কারণ অন্যান্য দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করতে পারে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে প্রেরিত টেসলার এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বৈষম্যমুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি অন্য দেশগুলো প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে, তবে মার্কিন রপ্তানিকারকরা বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।
মিত্র মাস্ককে ট্রাম্প সরকারি খরচ কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। ১১ মার্চ ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে টেসলার প্রচারণা করেছিলেন; চিঠিতে সেই তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, তবে এখনও স্পষ্ট নয়, সেই সইহীন চিঠিটি কে লিখেছেন এবং ইলন মাস্ক বিষয়টি জানেন কিনা।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টেসলার শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ কমে গেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অনেকের অভিযোগ, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গত বছর টেসলার বিক্রয় কম যাওয়া ও উৎপাদন লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে শেয়ারের দাম কমে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টেসলা তার সরবরাহ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে, যাতে আরও বেশি সংখ্যক স্থানীয় পরিবেশক গাড়ি ও ব্যাটারি সরবরাহ করতে পারেন এবং বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা হ্রাস পায়। তবে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, স্থানীয়ভাবে গাড়ির সব যন্ত্রাংশ ও উপকরণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে সংগ্রহের চেষ্টা করা সত্ত্বেও সবকিছু যুক্তরাষ্ট্রেই পাওয়া যাবে না।
মার্কিন সরকার চীনের সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে। বেইজিংও গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর চীন টেসলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছিলেন, যারা টেসলার বিরোধিতা করছেন, তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সির প্রধান হিসেবে ইলন মাস্ক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কমাতে অদক্ষ কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টেসলার শোরুমগুলোর সামনে বিক্ষোভ চলছে। ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তারা “একটি বিখ্যাত মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করছে”। কেউ যদি এই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়, তবে তাকে “জাহান্নামে যেতে হবে” বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আমদানিকৃত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপ করায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাও প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে।