Your Ads Here 100x100 |
---|
প্রায় আট দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত হওয়া মাগুরার আট বছর বয়সী শিশুটির বাড়িতে এখনো শোকের ছায়া। স্থানীয় মানুষজন একদিকে যেমন শোকাহত, অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ। তারা দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শিশুটির বাড়িতে এসে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এবং কেউ কেউ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান শ্রীপুর উপজেলার ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা দ্রুত দেখতে চাই এবং বিচার কার্যকর হোক সেটাও নিশ্চিত হতে চাই। তবেই পরিবারটি কিছুটা মানসিক শান্তি পাবে, দেশবাসীও স্বস্তি পাবে।”
এদিকে, বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
ড. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “শিশুটির ধর্ষকদের বিচার ৯০ দিনের মধ্যে নয়, বরং সাত দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে।
গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা অবস্থা গুরুতর দেখে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেদিনই সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে, ৮ মার্চ ঢাকা মেডিকেল থেকে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। টানা চিকিৎসার পর ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় শিশুটির।
বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।
সেদিন সন্ধ্যায় সামরিক হেলিকপ্টারে করে মরদেহ মাগুরায় পাঠানো হয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।