Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ ৯ মাস আটক থাকার পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে সক্ষম হলেন দুই বিশিষ্ট মার্কিন নভোচারী, বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস।
গত বছরের ৬ জুন এক সপ্তাহের মিশনে নভোচারীরা আইএসএস-এ যান, তবে বোয়িংয়ের যে ক্যাপসুলে তাঁরা যাতায়াত করেছিলেন, সেই ‘স্টারলাইনারে’ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এবং নিরাপত্তার কারণে তাঁদের সময়মতো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়নি।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে স্পেসএক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগনটি’ লক করা হয়। এরপর ক্রু ফ্লাইটের পোশাক পরেন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে মহাকাশযানটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
‘নাসা ক্রু–৯ মিশন’এর অংশ হিসেবে, ক্রু ড্রাগনে ফিরতি যাত্রা শুরু করার ১৭ ঘণ্টা পর এই চার নভোচারী পৃথিবীর আকাশমণ্ডলে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুলটি বিশেষ প্যারাস্যুটের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে নেমে আসে।
বুচ ও সুনিতা, দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অভিজ্ঞ নভোচারী ও মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট। ক্রু ড্রাগনের এ ফিরতি যাত্রা নিয়ে নাসার নভোচারী ও ‘ক্রু–৯’ মিশনের কমান্ডার নিক হেগ বলেন, “কী অসাধারণ যাত্রা!”
গত জুনে মাত্র ৮ দিনের এক মিশনে আইএসএস-এ গিয়েছিলেন দুই নভোচারী। মিশন শেষে পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও মহাকাশযানের ত্রুটির কারণে তাঁরা আটকে যান, যার ফলে তাঁদের ফেরানোর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়। ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টা, পাশাপাশি স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাজনৈতিক কারণে বুচ ও সুনিতাকে মহাকাশ স্টেশনে ফেলে রেখেছেন।
এখন, বুচ ও সুনিতাকে নাসার একটি উড়োজাহাজে করে হাউসটনে সংস্থাটির জনসন স্পেস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে কয়েক দিন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। নাসার ফ্লাইট সার্জনের সম্মতির পর তাঁদের পরিবারের সঙ্গে একত্র হওয়ার সুযোগ প্রদান করা হবে।
যাহোক, গত সোমবার নাসা পক্ষ থেকে তাঁদের ফেরার সঠিক দিনক্ষণ জানানো হয়। তাঁদের ফেরাতে নাসা ও স্পেসএক্স ‘ক্রু–৯ মিশন’ পরিচালনা করে।