28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জুন ১৯, ২০২৫

নির্বাচনি সামগ্রী কিনতে কতদিন সময় লাগবে জানালো নির্বাচন কমিশন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
নিউজ ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সামগ্রী সংগ্রহ ও মুদ্রণ কাজ ভোটের অন্তত তিন থেকে চার মাস আগেই সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভোটের সামগ্রী চাহিদা, সম্ভাব্য বাজেট ও মজুদ যাচাই করা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব মো. আখতার হামিদ বলেন, “নির্বাচনি প্রস্তুতি যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সে লক্ষ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু গুছিয়ে রাখা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “মূলত কাগজ সংগ্রহ থেকে ছাপা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগে, সেটি নির্ধারণে আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় তিন থেকে চার মাস সময় প্রয়োজন হয়। নির্বাচন ঘোষণার পর যে ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন দরকার, সেটি মাথায় রেখেই এগোনো হবে।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ২১ ধরনের ফরম, ১৭ ধরনের প্যাকেট, পাঁচ ধরনের পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা ইত্যাদি ছাপাতে হয়। এসব মুদ্রণ কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করে সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, ফলে মে মাসের মধ্যেই কাগজ কেনাকাটা শুরু করতে হবে।

তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ও প্রতীক বরাদ্দের ভিত্তিতে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে, যেগুলো মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়।

গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার রিম কাগজ কেনা হয়েছিল, এতে ব্যয় হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকারও বেশি। এবার অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার রিম কাগজ লাগতে পারে, যার জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৬ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

এবার জুন মাসে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ হবে। সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের পাশাপাশি কেন্দ্র, বুথ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়বে। ফলে পূর্ণাঙ্গ চাহিদা নির্ধারণে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে এবং বাজারদরের ভিত্তিতে বাজেট চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের বৈঠকে আরও আলোচনা হয়েছে আগের নির্বাচনের সময় বিজি প্রেসে থাকা কিছু সামগ্রীর গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে সেগুলোর ডিসপোজালের বিষয়েও। সচিব বলেন, “আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি, যারা যাচাই-বাছাই করে ক্ষতিগ্রস্ত কাগজপত্রের বিষয়ে প্রক্রিয়াগতভাবে ডিসপোজাল নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, কত পরিমাণ কাগজ লাগবে এবং কতদিন সময় লাগতে পারে—সেটি নিয়েও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

বৈঠকে বিজি প্রেসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, “পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সাধারণত তিন মাস সময় প্রয়োজন হয়। তবে প্রয়োজনে কিছুটা নমনীয়তা রেখে চার মাসের ভেতরেই সকল কেনাকাটা ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আসাদ সরকারের সেনাবাহিনী যে ফাঁদে পড়েছিল

  আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশাল বাহিনী, বছরব্যাপী যুদ্ধের অভিজ্ঞতা—এসব দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ভেঙে পড়েছে...