Your Ads Here 100x100 |
---|
এম.এ. কিবরিয়া, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর-সুলেমানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজান (৪১) সুলেমানপুর গ্রামের ময়দুর মুন্সি বাড়ির রবিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডেকোরেশন কর্মী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে পার্শ্ববর্তী মৌটুপী গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এ ঘটনা নিয়ে ভবানীপুর গ্রামের বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার সঙ্গে সুলেমানপুর ময়দর মুন্সি গোষ্ঠীর মিজান মিয়ার গত বুধবার রাতে কথা কাটাকাটি হয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, সর্বশেষ দুই বংশের বিরোধ মেটাতে গ্রামবাসীর উদ্যোগে ‘শান্তি কমিটি’ করা হয়েছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সরকার বাড়ি ও কর্তা বাড়ির লোকজনের মধ্যে ৫৬ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে গত বছরের ৩১ অক্টোবর কর্তা বাড়ির লোকজনের হামলায় সরকার বাড়ির কাইয়ুম নিহত হন।
বিষয়টি মীমাংসার জন্য আজ শুক্রবার সকালে সালিসি বৈঠক বসে। সালিস চলাকালে সময় বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার লোকজন ময়দর মুন্সির বাড়ির মিজান মিয়ার ওপর হামলা চালায়। পরে দুপক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মিজানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মৌটুপী গ্রামের সংঘর্ষের জেরে পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর-সুলেমানপুর গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।