Your Ads Here 100x100 |
---|
একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট—ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে টেস্ট ইতিহাসে অনন্য কীর্তি গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার এই জাদুকরী পারফরম্যান্সে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে মিরাজ খেলেন ১৪৩ বলে ১০৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস, যেখানে ছিল ১১টি চারের মার একটি ছয়ের মার । তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ৪৪৪ রান। এরপর বল হাতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন এই অফস্পিনার। ৩২ রান খরচায় শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। টেস্টে একসঙ্গে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে পেয়েছেন কেবল সোহাগ গাজী ও সাকিব আল হাসান। এবার তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সেই তালিকায় নাম লেখালেন মিরাজ।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে থামিয়ে ২১৭ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। বিশাল সেই চাপ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও ধস নামে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে। তারা থামে মাত্র ১১১ রানে।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিরাজ এগিয়ে যেতে থাকেন শতকের পথে। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ার পর পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। এরপর নবম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৯৬ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন। তানজিম খেলেন ৮০ বলে ৪১ রানের কার্যকর ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মিরাজ—১৬২ বলে ১০৪ রান করে।
বোলিংয়ে শুরুটা করেন তাইজুল ইসলাম, সপ্তম ওভারেই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে বিপর্যয় নামিয়ে আনেন জিম্বাবুয়ের ইনিংসে। পরে উইকেট শিকার করেন নাঈম হাসান ও মিরাজ। সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে দেন মিরাজ—উইলিয়ামস, আরভিন, মাধেভেরে, সিগাকা ও মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন অধিনায়ক বেন কারান। বাকিরা কার্যত ছিলেন নিষ্প্রভ। বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ পান তিন উইকেট, তাইজুল ও নাঈম দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। এমন এক ম্যাচ, যা দীর্ঘদিন মনে রাখবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।