Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন একটি সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণের। সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে বড় পদক্ষেপ হিসেবে ‘গোল্ডেন ডোম’ নামে এক উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ডেন ডোম একটি অনন্য ও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটা আমাদের প্রতিরক্ষায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।”
মূলত চীন ও রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যেই এই মহাকাশভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএস স্পেস ফোর্সের জেনারেল মাইকেল গেটলাইনকে।
গোল্ডেন ডোম এমনভাবে তৈরি হবে, যাতে এটি মহাকাশ, স্থল ও সমুদ্র—তিন দিক থেকেই আসা ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রতিরোধেও কার্যকর হবে।
প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে দীর্ঘ মেয়াদে খরচ দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। ট্রাম্প জানিয়েছেন, চলতি মেয়াদেই অর্থাৎ ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, কানাডা ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে আরও মিত্র দেশকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গোল্ডেন ডোম প্রকল্পটি ইসরায়েলের সফল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে তৈরি হচ্ছে। তবে এটি হবে আরও বৃহৎ পরিসরের এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও উন্নত।
পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আমেরিকান ব্যবস্থার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বড় হুমকি তৈরি করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, সেই আশঙ্কা থেকেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্প।