| Your Ads Here 100x100 |
|---|
বিনোদন ডেস্কঃ
বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয়েছে। নানা দেশের চলচ্চিত্রের মধ্যে এ বছর শিল্পমান, বিষয়বস্তু ও নির্মাণশৈলীর দিক থেকে দর্শক ও বোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে পাঁচটি ব্যতিক্রমী সিনেমা। যুদ্ধ, বাস্তবতা, অভিবাসন ও মানবিক সংকটের গল্পে নির্মিত এই চলচ্চিত্রগুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল উৎসব জুড়ে।
ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা

ফিলিস্তিনি জমজ পরিচালক টারজান নাসের ও আরব নাসের নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি “আন সার্টেইন রিগার্ড” বিভাগে প্রদর্শিত হয়। ২০০৭ সালের গাজাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই অপরাধ থ্রিলারে তুলে ধরা হয়েছে আজকের গাজার প্রতিচ্ছবি। দোকানদার ওসামা ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখানো তরুণ ইয়াহিয়ার গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে দখলদার বাহিনী ও গাজাবাসীর কঠিন বাস্তবতা। সিনেমাটিকে বর্তমান সময়ের গাজার প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছেন অনেকে।
আয়েশা ক্যান’ ফ্লাই অ্যাওয়ে

মিশরীয় পরিচালক মুরাদ মোস্তফা পরিচালিত এই চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে অভিবাসন-সংকটের এক কঠিন চিত্র। ২৬ বছর বয়সী সুদানি নারী আয়েশার জীবনের কাহিনি ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে গল্প। কায়রোর আইন শাম্স এলাকার আফ্রিকান অভিবাসী অধ্যুষিত সমাজ, সংঘাত ও সংগ্রাম সিনেমাটিকে বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। সিনেমাটি “আন সার্টেইন রিগার্ড” বিভাগে স্থান পায়।
সিরাত

মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পাওয়া স্প্যানিশ-ফরাসি পরিচালক অলিভার লাক্সের ‘সিরাত’ এক আধ্যাত্মিক যাত্রার গল্প। মরক্কোর মরুভূমির বুকে একজন বাবা ও তার ছেলের নিখোঁজ মেয়েকে খোঁজার কাহিনির মাধ্যমে এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে সহনশীলতা, আত্মঅন্বেষণ ও মানবিক সম্পর্কের জটিলতা। ইসলামী ভাবধারার ‘সিরাত’ শব্দটি চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট

ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি নির্মিত থ্রিলারধর্মী সিনেমা এটি। গাড়ি দুর্ঘটনার পর একজন গ্যারেজ মালিকের সন্দেহের বশে ঘটতে থাকা ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে চমকপ্রদ এক কাহিনি। বিচারহীনতা ও অতীতের ভয়াবহ স্মৃতি কীভাবে একজন মানুষকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলতে পারে—সেই প্রশ্নই ছুঁড়ে দেয় এই সিনেমাটি।
প্রমিজ্ড স্কাই

ফরাসি-তিউনিসিয়ান পরিচালক এরিগে সেহিরি পরিচালিত ‘প্রমিজ্ড স্কাই’ সিনেমাটি তিউনিসে বসবাসরত তিন আইভোরিয়ান নারীর জীবনসংগ্রামকে কেন্দ্র করে নির্মিত। মারি, ন্যানি ও জোলি নামের তিন নারীর সঙ্গে যুক্ত হয় সাব-সাহারান এক অনাথ শিশু, যে বৈষম্যের বাস্তবতা বহন করে চলে। অভিবাসনের কষ্ট ও নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। সিনেমাটি “আন সার্টেইন রিগার্ড” বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে।

