18 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

শচীন ছোট বেলায় প্রতি শনিবার কেন মায়ের অফিসে যেতেন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্ক :
পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে দেশে ফিরে আসা ছেলেকে তাঁর মা বলেছিলেন, ‘তুমি এখানে কী করছ? যাও ফিরে গিয়ে খেলো দেশের হয়ে!’ হ্যাঁ শচীন টেন্ডুলকারের মা রজনী টেন্ডুলকার ছেলেকে এই কথা বলেছিলেন।
১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রয়াত হন শচীন টেন্ডুলকারের পিতা। মায়ের আদেশ পেয়ে শচীন আবার ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেন।
শচীন যখন বেশ ছোট তাঁর মা তাঁকে প্রায়ই প্রতি শনিবার নিজের অফিসে নিয়ে যেতেন। তিনি সান্তাক্রুজে এল আই সি’র বিদেশি দপ্তরে অবসর পর্যন্ত ওই শাখায় কর্মরত ছিলেন। অনেক বছর পরে শচীন ভারতের হয়ে টেস্ট খেললেন। শুরু করলেন রেকর্ড গড়া ও ভাঙা। একদিন রজনী তেন্ডুলকরের সহকর্মীরা তাঁর কাছে আবদার করলেন ছোট্ট সেই শচীন কে তারা অফিসে একদিন দেখতে চান। রজনীর অবসরের সময় এগিয়ে আসছে ‌।
শচীন কে রজনী বললেন তুই যাবি একদিন আমার অফিসে? এককথায় শচীন রাজি হয়ে গেল শুধু নয় শচীনের সহধর্মিণী অঞ্জলিও গেলেন এল আই সি’র অফিসে রজনী তেন্ডুলকরের চাকরি জীবনের শেষ দিনে। শচীন সব গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গোপনীয়তা র়ক্ষা করা গেল না। এল আই সি’র অফিসের পিওনটা শচীনের গাড়ি চিনে ফেললেন। ব্যস, আর যায় কোথায়, গোটা অফিস ভেঙে পড়ল রজনী তেন্ডুলকরের শাখায়। আশপাশের লাগোয়া অন্য অফিস থেকে পিলপিল করে লোক হাজির। কোথা থেকে ফটোগ্ৰাফাররা খবর পেলেন। সবমিলিয়ে একটু বিশৃঙ্খল অবস্থা। হ্যাঁ ভারতরত্ন, দেশের বরেণ্য ক্রিকেটার হয়েও শচীন তাঁর অতীতের মধ্যবিত্ত জীবনের সংস্কৃতিকে লালন- পালন করতে ভালবাসতেন। বোধহয় সেই কারণে যে মুহূর্তে মা বলল আমার অফিসে যাবি এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। গ্ৰেটরা বোধহয় এমন হন!
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পর গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

ঢাকার মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল (১৫) হত্যাকাণ্ডের প্রায় আড়াই দিন পর গৃহকর্মী...