ইংল্যান্ডের চতুর্থ সারির দল গ্রিমসবি টাউনের কাছে টাইব্রেকারে ১২-১১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বুধবার রাতে ব্লান্ডেল পার্কে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়। টাইব্রেকারে হেরে ম্যানইউ কারাবাও কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে।
রুবেন আমোরিকের দলের এই হারকে ২১ শতকের ২৫ বছরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবচেয়ে বাজে হারগুলো একটি হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে লিভারপুল, ব্রাইটন, টটেনহ্যামের কাছে বড় বড় ব্যবধানে হেরেছে ম্যানইউ। তাই বলে চতুর্থ সারির দলে কাছেও হার!
কারাবাও কাপের ম্যাচে গ্রিমসবি প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নেয়। দুটি গোলই আসে বাতিলের খাতায় পড়ে যাওয়া ম্যানইউ গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার ভুলে। ২২ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেওয়া শট নাগালে থাকলেও হাত ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। বল চলে যায় জালে।
৩০ মিনিটে কর্ণার থেকে নেওয়া ক্রস এগিয়ে এসে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলেন ওনানা। বল তার হাতে না লাগলেও জটলার মধ্যে পড়ে যান ওনানা। ফাঁকায় বল পেয়ে টাইরেল ওয়ারেন বল পাঠিয়ে দেন জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটে ব্রায়ান এমবেউমু বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান কমান। ৮৯ মিনিটে হেড থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুইরে। এরপর টাইব্রেকারেও ম্যানইউ তারকারা ভুল করেছে।
প্রথম পাঁচটি শটের মধ্যে দুই দলই একটি করে মিস করে। এর মধ্যে গ্রিমসবি একটা শট পোস্টে মারে। ম্যানইউ’র ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ম্যাথিউস কুনিয়া পঞ্চম শট মিস করেন। পরের পাঁচ শটেই গোল করে দুই দল। ১১তম শট শেষে ১০-১০ ছিল ম্যাচ।
নতুন করে আবার পাঁচটি করে শট মারতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৩তম শট নেন এমবেউমু। তিনি ওই শটটি মিস করায় বিদায় নেয় ম্যানইউ। মজার বিষয় হচ্ছে, আন্দ্রে ওনানা ১৩ শটের একটিও ফেরানোর মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
ম্যানইউ ২০২৩ সালে লিভারপুলের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে, ২০১১ সালে ম্যানসিটির কাছে হেরেছে ৬-১ গোলে, ২০২১ সালে লিভারপুল হারিয়েছে ৫-০ গোলে। গ্রিমসির বিপক্ষে ২-২ সমতার পর টাইব্রেকারের এই হারকে চতুর্থ স্থানে রেখেছে সংবাদ মাধ্যম গোল। এরপরে রেখেছে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৬-১ গোলের হার, ২০১৪ সালে এমকে ডনসের বিপক্ষে ৪-০ গোলের হার ও ২০২২ সালে ব্রেনফোর্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলের হারকে।