কে এম শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ভাড়া বাড়িতে নিজের মায়ের সহযোগিতায় ১২ বছর বয়সী সৎ কন্যাকে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে কিশোরীর বাবা ও মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেয়ের মামার দায়ের করা মামলায় মেয়েটির মা ও সৎ বাবাকে গ্রেফতার করে শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের গাংবের গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে রশিদুল ইসলাম (৪০) তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখি আক্তার(২৮)।
জানা যায়, রশিদুল ইসলাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখি আক্তার ও ১২ বছর বয়সী সৎ মেয়েকে নিয়ে উপজেলার ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ মাস ধরে ধর্ষণ করছিল ওই সৎ বাবা। তাকে সহযোগিতা করছিল কিশোরীর নিজের মা। প্রায় ৫ মাস আগে ২ মাসের গর্ভবতী হওয়ার ঘটনাও ঘটে । সৎ বাবা ও মা গর্ভনাশক ঔষুধ খাইয়ে কিশোরীকে গর্ভপাত করান।
মেয়েটি তার মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে মামা-মামিকে ঘটনা জানালে মেয়েটির মামা বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটির মা ও সৎ বাবা গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মামা সোহাগ ইসলাম বলেন, আমার ভাগিনীকে ১০ মাস ধরে আটকে রেখে তার নিজ মায়ের সহায়তায় সৎ বাবা ধর্ষণ করে আসছিলেন। ৫ মাস আগে সে গর্ভধারণ করলে তাকে ঔষধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত করা হয় এসময়ে সে গুরুতর অসুস্থ হয়। আমরা ভুক্তভোগীকে কখনো একা পাইনি সে সব সময়ই চিন্তিত থাকতো। পরে বিষয়টি নিয়ে আমার সন্দেহ হলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে সবকিছু খুলে বলে। পরে আমি থানায় এসে মামলা দায়ের করি।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীটির সৎ বাবা ও মাকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আজ বিকেলে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।