- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
মানব ইতিহাসের বিস্ময়কর সব আবিষ্কারের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্যময় গল্প। তার মধ্যে ইলিয়াস হাওয়ের কাহিনি নিঃসন্দেহে অন্যতম রোমাঞ্চকর। আমরা সাধারণত স্বপ্নকে মনে করি অলীক—ঘুমের ভেতরকার খেলা। কিন্তু কোনো কোনো স্বপ্ন এমন হয়, যা জেগে ওঠার পর বদলে দেয় গোটা পৃথিবীর ইতিহাস। ইলিয়াস হাওয়ের জীবনের ঘটে যায় এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা। ভাবা যায় এক দুঃস্বপ্ন থেকে জন্ম হয়েছে আধুনিক সেলাই মেশিনের!
১৮৪৫ সাল। হাও তখন একেবারে দেউলিয়ার পথে। বারবার চেষ্টা করেও তার সেলাই যন্ত্র চলছিল না। সূঁচে সমস্যা, সবকিছু ভেস্তে যাচ্ছে। চারপাশের লোকজন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছিল—“এ সব পাগলামি!” হাওয়ের কাছে প্রতিটি দিন হয়ে উঠছিল যন্ত্রণার, প্রতিটি রাত অস্থিরতার।
তারপর এল সেই রাত।
স্বপ্নে হাও নিজেকে দেখলেন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে। নরখাদকরা তাকে বন্দি করেছে। আগুন জ্বালিয়ে রান্নার আয়োজন চলছে। হাত-পা বাঁধা, চারপাশে শুধু ভয় আর মৃত্যু। কিন্তু আতঙ্কের মাঝেই তিনি খেয়াল করলেন এক অদ্ভুত জিনিস—ওই নরখাদকদের হাতে ধরা বর্শার অগ্রভাগে ছোট ছোট ছিদ্র!
হাও ঘুম ভেঙে উঠে বসে গেলেন—হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে মারাত্মক ভাবে। আর মস্তিষ্কে যেন বজ্রবিদ্যুৎ খেলে গেলো।“যদি সূঁচের ছিদ্রটা পেছনে না থেকে অগ্রভাগে থাকে?”
কালবিলম্ব না করে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই চেষ্টা শুরু করলেন।কি আশ্চর্য! মেশিন এবার একেবারে নির্বিঘ্নে চলল। মুহূর্তে মুছে গেল ব্যর্থতার কালো অন্ধকার। জন্ম নিল আধুনিক সেলাই মেশিন।
এরপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। হাও পেটেন্ট নিলেন, সেলাই মেশিন ছড়িয়ে পড়ল সারা বিশ্বে। কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলে গেল। একসময়ের দুঃস্বপ্নই হয়ে উঠল মানবসভ্যতার আশীর্বাদ।
কী অবিশ্বাস্য, তাই না?
যেখানে একজন মানুষ ভয়ে কেঁপে উঠেছিলেন, সেখান থেকেই বেরিয়ে এলো সৃষ্টির উল্লাস।

