বাংলাদেশের অসংখ্য নৌযান জলসীমা অতিক্রম করে ‘রহস্যজনকভাবে’ মিয়ানমারের ভেতরে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির রামু সেক্টরের কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে রাডার, ড্রোন, নাইটভিশনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।প্রযুক্তির মাধ্যমে নৌযানের গতিবিধি নজরে রাখছে বিজিবি । বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, নাফ নদীসহ মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা সাগর উপকূল মাদক চোরাচালানের প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে। সাগরপথ দিয়েই ৮০ শতাংশ মাদক প্রবেশ করছে, যার ডিজিটাল প্রমাণ বিজিবির কাছে রয়েছে।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযানে ২৮ লাখ ইয়াবা, এক কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ ৮৮ কোটিরও বেশি টাকার মাদক জব্দ হয়েছে। একই সময়ে সীমান্ত থেকে ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সমুদ্র থেকে আরাকান আর্মির হাতে ২২৮ জন জেলে আটকের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় ১২৪ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হলেও এখনো ১২টি ট্রলারসহ ১০৪ জন জেলে বন্দি রয়েছেন।
সেক্টর কমান্ডার জানান, আরাকান আর্মির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সম্ভব না হলেও বিকল্প কৌশলে বন্দিদের ফেরাতে চেষ্টা চলছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জেলেরা মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশের পর আটক হয়েছেন, বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে কাউকে ধরে নেওয়ার সাহস কারও নেই।
তিনি আরও বলেন, সাগরপথে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে বিজিবি। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতা তৈরি, মাদকবিরোধী কর্মসূচি, চিকিৎসা সহায়তা এবং খেলাধুলার আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।