বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন বাড়লেও গাজায় গণহত্যা থামছে না। প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের উপর বোমা, গুলি ও অবরোধের মাধ্যমে জীবন বিপর্যস্ত করা হচ্ছে ।
হত্যা করা হচ্ছে নারী ও শিশুকে । ১০ লাখ বসবাসকারী গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলার পর দলে দলে মানুষ দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছেন। খাদ্য ও পানির সংকটে অনাহারে মৃত্যুও বাড়ছে।
সোমবার গাজা সিটির আল-রানতিসি শিশু হাসপাতাল ও সেন্ট জন হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার পর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, আল-রানতিসি হাসপাতালে সরাসরি বোমা পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংস করে গণহত্যা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এসব হামলা চালাচ্ছে। সোমবার একদিনেই আরও ৬১ জন নিহত ও ২২০ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৩৪৪ জন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৭৯৫ জন।
গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধে ইতালির রোম ও মিলান শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। রেল ও গণপরিবহন ব্যবস্থা বিক্ষোভের কারণে ব্যাহত হয়। শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে “শিশুহত্যা আত্মরক্ষা নয়” ও “ফিলিস্তিন মুক্ত করো” স্লোগান দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও তা গণহত্যা বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। আরব-ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের পরিচালক ক্রিস ডয়েল বলেন, “স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও ইসরায়েলের নৃশংসতা থামাতে নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ এখন জরুরি।”
এদিকে দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জবেইলে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। লেবাননের সংসদ স্পিকার নাবিহ বেরি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকও আছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, নিহতরা মার্কিন নাগরিক ছিলেন না।