| Your Ads Here 100x100 |
|---|
দৈনিক সমকালের কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধি ও রাজারহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে হত্যার হুমকির ঘটনায় সরেজমিনে তদন্ত করেছেন,কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে তারা এই তদন্ত করেন।
অন্যদিকে বিকেলে বিএনপি নেতা আনিছুর রহমান ও তার ছেলে সোহেল আনিছের নানা কুকীর্তির বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছে প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও এলাকার সচেতন জনগণ।
জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাজারহাট বাজারের থানা মোড়স্থ বাদল চন্দ্রের কসমেটিক্স দোকানে সমকালের রাজারহাট প্রতিনিধি ও রাজারহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ কেনাকাটা করার সময় তাকে দেখে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আনিছুর রহমানের ছেলে সোহেল আনিছ অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এসময় তিনি সেখান থেকে সরে পার্শ্বস্ত আব্দুর রশিদের ওষুধের ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়ের জন্য আসেন। সোহেল আনিছও তার পিছু পিছু সেখানে উপস্থিত হয়ে পুনরায় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করতে থাকে। সাংবাদিক আসাদ তাকে হুমকী ও গালমন্দের কারণ জানতে চেয়ে বিষয়টি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করার সময় সোহেল আনিছ উত্তেজিত হয়ে তার হাত থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং হুমকি দেয় যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সে রাজারহাট প্রেসক্লাব দখলে নিয়ে নিজেই সভাপতি হবে। একপর্যায় তার পিতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ উঠানো না হলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
সাংবাদিক আসাদ বলেন “আমার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম উপজেলার পাঠানহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং উচ্চ আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও উক্ত মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি ও রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক আনিছুর রহমান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অফিস সহকারীর পদ ছেড়ে দিয়ে সেই পদে নতুন নিয়োগ দিয়ে টাকার ভাগ নেয়ার প্রস্তাব দেন আরিফুল তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে এমপিও রেজুলেশন প্রদানে তালবাহানা করে আসছেন। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আরিফুল মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি এবং মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এনিয়ে গত ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর একাধিক সংবাদ মাধমে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। এনিয়ে ভূক্তভোগী সাংবাদিক রবিবার জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করলে সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সদস্য ফিরোজ রহমানকে প্রধান করে শাহানুর আশরাফ জুয়েল এবং ইদ্রিস আলীকে সদস্য করে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন তারা মঙ্গলবার রাজারহাট প্রেসক্লাব সহ ঘটনাস্থল এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজারহাট প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতা রুবেল মিয়া, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আরিফুল ইসলাম, রাজারহাট প্রেসক্লাব সভাপতি সরকার অরুণ যদু, সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ সহ অনেকে।
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

