| Your Ads Here 100x100 |
|---|
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের দুজন স্বাস্থ্যকর্মী লাপাত্তা। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের দাবি, এক বছরে একদিনও পাননি কোনো ওষুধ।
পলাতক স্বাস্থ্যকর্মীরা হলেন- চর শৌলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মামুন হাসান ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বন্দবেড় ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল। তারা দুজনে উপজেলার ঘুঘুমারী ও টাপুরচর কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত রয়েছে।
জানা যায়, মামুন হাসান এবং আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ২০১০ সালে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। অফিস না করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দিয়েছেন এবং দুজনে বাগিয়ে নিয়েছেন সভাপতির পদ। এরপর থেকে ওই দুই ক্লিনিকের বরাদ্দকৃত সরকারি সকল ওষুধ সাধারণ রোগীকে বঞ্চিত করে তাদের আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিলিয়ে দিতেন এবং বাকি ওষুধ খোলাবাজারে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগও রয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক মামলার আসামি এই দুই সিএইচসিপির মধ্যে মামুন রৌমারী থানা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেল-হাজতে রয়েছেন। অন্যদিকে আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল ৫ আগস্টের পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন।
টাপুরচর গ্রামের স্কুল শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার দাপটে টাপুরচর বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে পারত না এবং সেবাসংক্রান্ত বিষয়ে তাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরতেন না। এভাবেই সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে সিএইচসিপি ও নিষিদ্ধ সংগঠন বন্দবের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এখনো তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়নি।
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

