জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মীও সীমান্ত পেরিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। দেশে দলীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কলকাতায় বসে তারা বৈঠক ও সমন্বয়সহ নানা রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
দৈনিক আমার দেশ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি ইতিমধ্যেই কলকাতায় অবস্থানরত ৭৩৪ জন আওয়ামী লীগ নেতার পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করেছে। এতে তাদের নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট ও টেলিফোন নম্বর পর্যন্ত যুক্ত রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার গত ৫ আগস্টের পর এসব নেতার পাসপোর্ট বাতিল ঘোষণা করলেও তাদের কাছে এখনও বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে নতুন পাসপোর্ট তারা হাতে পেলেন।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় অবস্থানরত কিছু সাবেক বাংলাদেশি পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তা এই নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে শেখ হাসিনা এখন দিল্লির অভিজাত লুটিয়েন্স বাংলো জোনে সুরক্ষিত ভবন “১১ রাজাচি মার্ক”-এ অবস্থান করছেন। সেখানে তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আছেন ওবায়দুল কাদের, শেখ সেলিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অনেক সাবেক মন্ত্রী। ইউনিয়ন পর্যায়ের বহু নেতাও পরিবার বা মেসভাড়া নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছেন।
গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ভারতীয় গোয়েন্দারা এসব পালাতক নেতাদের তথ্যভান্ডার তৈরি করে নিজেদের নেটওয়ার্কে রাখতে চাইছে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে কাজে লাগতে পারে।