সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন নাপিতখালী বনবিটের ফকিরাবাজার এলাকায় একটি বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় ঐ এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন স্থাপনা ও বাউন্ডারি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উক্ত দুটি পৃথক স্থানে গাছের চারা লাগিয়ে সতর্ককীরণ ব্যানার টাঙ্গানো হয়। এ অভিযানের মাধ্যমে বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয় এবং উদ্ধারকৃত বনভূমির বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঈদগাঁও উপজেলার ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীন ফকিরাবাজারে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ফুলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, ঈদগাঁও রেঞ্জ অফিসার, বিট কর্মকর্তা, স্টাফ, ভিলেজার ও পাহারা দলের নারী-পুরুষ শতাধিক সদস্য সহযোগিতা করেন।
সহকারী বন সংরক্ষক শীতল পালের সার্বিক দিক নির্দেশনায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরপরই ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীনে বনভূমি জবরদখল করে অসংখ্য অবৈধ বসতবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এতে বনাঞ্চলের বিশাল অংশ বেদখল হয়ে যায়। বনাঞ্চল বনভূমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তুলা অবৈধ বসতবাড়ি চিহ্নিত করে উচ্ছেদ আবেদন করা হয়।তারই প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করে তাৎক্ষণিকভাবে দখলমুক্ত জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন, বনভূমি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে বন অপরাধ ও জবরদখল প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বলেন, সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখল করে গড়ে তোলা দুটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জবরদখল মুক্ত হয়েছে বনভূমির বিস্তীর্ণ ভূমি। অভিযানে সহযোগিতা করেছে বনবিভাগের প্রায় শতাধিক সদস্য।