| Your Ads Here 100x100 |
|---|
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পূর্ণ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫দিনব্যাপী এই ধর্মীয় মিলনমেলার। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
এর আগে সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে ভক্তরা পূজা-অর্চনায় অংশ নেন। দুপুরের পর থেকেই মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। বিকেলে বিজয়া শোভাযাত্রা নিয়ে ভক্তরা তাড়াইল সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেন।
এ সময় ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। ‘বলো দূর্গা মায়ের জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, বিজয়া দশমী শুধু বিদায়ের দিন নয়, এটি ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দের উৎসব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা পপি খাতুন ও তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের সার্বক্ষণিক নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপণ হয়।
এর আগে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে মায়ের বোধন শুরু হয়।নিজ নিজ এলাকা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে সনাতণ ধর্মীয় অনেক ভক্তদের প্রতিমা দর্শন চোখে পড়ার মতো।তাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মন্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দেখার পাশাপাশি কমিটির সদস্যদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রেখেছেন।
এবার তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ১৭ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুকুট রঞ্জন দাস ,তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

