মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে প্রস্তাবিত নতুন গাজা শান্তি পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। বিশেষত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় বিশ্ব নেতারা এটিকে সম্ভাব্য অগ্রগতির সংকেত হিসেবে দেখছেন।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এতদিন যেকোনো মার্কিন প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেও এবার হামাসের নরম অবস্থান পরিস্থিতির নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও জাতিসংঘ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আলোচনার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, “যে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিতকে গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। এটাই শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি নেতৃত্ব সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানালেও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, প্রস্তাবের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা নিয়ে আঞ্চলিক শক্তি মিশর, কাতার ও তুরস্কও নেপথ্যে সক্রিয় রয়েছে। হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া একদিকে যেমন আলোচনার সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলি রাজনীতির ভেতর নতুন বিতর্কও উসকে দিচ্ছে।