১৯৮৭ সালে ৭৪ বছর বয়সী রিকশাচালক বাই ফাংলি অবসর নেওয়ার পর শান্তিপূর্ণ জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু যখন তিনি দেখলেন, দারিদ্র্যের কারণে শিশুদের স্কুল থেকে দূরে সরানো হচ্ছে, শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। তখন তিনি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আবার কাজে ফিরেন এবং তার উপার্জিত প্রতিটি পয়সা দান করতে শুরু করেন—শুধু নিজের চাহিদা মেটানো নয়, বরং দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার জন্য অর্থায়ন করা। প্রায় দুই দশক ধরে বাই ফাংলি সান্ত্বনার বদলে আশা ও শিক্ষা ছড়িয়েছেন।
২০০১ সালের মধ্যে, তার জীবনের সকল অবদান ৩০০ শিশুর শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। নিজের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যাননি, কিন্তু তিনি রেখে গেছেন এমন একটি উত্তরাধিকার যা সোনার চেয়ে অনেক মূল্যবান—মানবিকতা, উদারতা ও সমাজের জন্য দায়বদ্ধতার উদাহরণ।
বাই ফাংলি একজন সত্যিকারের নীরব বীর, যার দয়া বহু জীবনকে আলোকিত করেছে।