| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (০৬ অক্টোবর) বেলা তিনটায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা দুধকুমারসহ অন্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই তীরের অববাহিকায় রোপা আমন, সবজি, মাস কালাইসহ বিভিন্ন ফসলি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া বিভিন্ন খাল, ডোবা ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্য মতে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ২২৭ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ৯৮৭ হেক্টর, বিভিন্ন শাক-সবজি ১ শত ৯১ হেক্টর, মাসকলাই ৪৯ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি টানা বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে সে ক্ষেত্রে এ বছর রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়বে। এতে করে কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবারসহ ৪২৪ টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা রয়েছে। আমাদের খাদ্য পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আপাতত কোনো সমস্যা হবে না।

