- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
রাজধানীর পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসাইন (২৫) হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ত্রিভুজ প্রেমের দ্বন্দ্ব। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তার ছাত্রী ও প্রেমিকা বার্জিস শাবনাম বর্ষা, আর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন বর্ষার প্রথম প্রেমিক মাহির রহমান।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এসএন নজরুল ইসলাম জানান, হত্যার দিন বর্ষার ডাকে জোবায়েদ তার বাসায় পড়াতে গেলে মাহির ও তার বন্ধু ফারদীন আহমেদ আয়লান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাহির ছুরি বের করে জোবায়েদের গলায় আঘাত করে হত্যা করেন।
শেষ মুহূর্তে বর্ষাকে বলেছিলেন—“আমাকে বাঁচাও”
পুলিশ জানায়, ছুরিকাঘাতে আহত জোবায়েদ রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ষার কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলে বর্ষা বলেন,
“তুমি না সরলে আমি মাহিরের হতে পারব না।”
কিছু সময় পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জোবায়েদ মারা যান।
পরিকল্পনার শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে
তদন্তে জানা গেছে, বর্ষা একই সঙ্গে মাহির ও জোবায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাহিরের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। এরপর বর্ষা নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজান। মাহিরের ব্যাগ থেকে কেনা ছুরি দিয়েই তিনি জোবায়েদকে খুন করেন।
বরগুনার মিন্নি ঘটনার সঙ্গে মিল
ডিএমপি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন,
“এটি ছিল সম্পূর্ণ বর্ষার পরিকল্পনা। বরগুনার মিন্নি ঘটনার সঙ্গে এই হত্যার অনেক মিল রয়েছে। মেয়েটি একসঙ্গে দুই সম্পর্ক টানতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত খুনের পথ বেছে নেয়।”

