মিরপুরের স্পিন-বান্ধব উইকেট নিয়ে আগে থেকেই ধারণা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম ম্যানেজমেন্টের। তবু প্রথম ওয়ানডের অভিজ্ঞতা তাদের বাস্তবতা বুঝিয়ে দিল— এটা শুধু স্পিন সহায়ক নয়, রীতিমতো ‘স্পিনের স্বর্ণখনি’।
সেই উপলব্ধি থেকেই দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তড়িঘড়ি করে ডেকে পাঠানো হয় বামহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায় ঢাকায় পৌঁছে যান তিনি, এবং পরদিনই জায়গা করে নেন একাদশে।
অবাক করার মতো বিষয়— শুধু একাদশেই নয়, আকিল ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই বল হাতে নামেন। এদিন চারজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সঙ্গে পেস অলরাউন্ডার শেরফান রাদারফোর্ড ও জাস্টিন গ্রিভস, আর পার্ট-টাইম স্পিনার অ্যালিক আথানেজ।
অধিনায়ক শাই হোপ বোলিং আক্রমণে শেষ দিকে আনেন ওপেনার আথানেজকে, যিনি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো সবাইকে অবাক করেন। ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট—এর মধ্যে ৫০ বলই ছিল ডট!
এতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়ে ৫৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসের এক অনন্য রেকর্ড— 👉 প্রথম দল হিসেবে ইনিংসের সব ৫০ ওভারই স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছে তারা।
এর আগে সবচেয়ে বেশি স্পিন ওভার ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৪ ওভার স্পিন দিয়েছিল লঙ্কানরা। সাম্প্রতিক সময়ে ২০২৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওমান দিয়েছিল ৪৩.৪ ওভার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এতদিন কখনো ৩৫ ওভারের বেশি স্পিন বোলিং করায়নি। এবার ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল তাদের স্পিন সেনারা—মিরপুরের এক জাদুকরী সন্ধ্যায়।